করোনার হাত থেকে ভাই কে রক্ষা করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল ভাঁইফোটা বোনেদের

16th November 2020 6:58 pm বর্ধমান
করোনার হাত থেকে ভাই কে রক্ষা করতে অনলাইনে ভার্চুয়াল ভাঁইফোটা বোনেদের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  ভাই দ্বিতীয়া উপলক্ষ্যে বোনেরা ভাইদের মঙ্গল চেয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা দিলেও করোনা কাঁটায় জেরবার সারা বিশ্ব।আর সেই কাঁটার হাত থেকে বাঁচতে ও বাঁচাতে অনেক বোনই এইদিন বেছে নিলেন ভার্চুয়াল ফোঁটাকে।নজরকাড়া এই আয়োজনেই বোনেরা তাক লাগিয়ে দিলেন অনেককেই।মন্ত্রী থেকে সেলিব্রিটি ভাইদের জন্যও এই আয়োজন নজর পড়লো সোমবার।অনলাইনেই ভাই ও বোনেরা একে অপরের মধ্যে উপহারও আদানপ্রদান করলেন।
                 করোনা আবহে ট্রেন চালু হলেও ট্রেনে ব্যাপক ভিড়।তার উপর করোনা কাঁটার আতঙ্ক তো রয়েছেই।আর সেই কারণেই অনেক ভাই বোনই একে অপরের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।তাই মোবাইল ফোনে ভিডিও কলের মাধ্যমেই এইবারের ভার্চুয়ালি ফোঁটায় অনেক বোনের মুখেই উচ্চারিত হল‘ ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।’পূর্ব বর্ধমানের কালনায়,দাঁইহাটের কাঁসারি বাড়িতে ও পূর্বস্থলীতে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের মতো অনেক ভাইকেই দেখা গেল মোবাইলের ওপার থেকে বোনেদের কাছ থেকে ফোঁটা নিতে।দূরদূরান্তে থাকা ভাই বোনদের প্রথম থেকে একটা চিন্তাই ছিল গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে না পারলে এইবারের ভাইফোঁটা কিভাবে হবে।যদিও উন্নত প্রযুক্তিই বোনেদের সেই আশাকে পূরণ করেছে।অনলাইনের মাধ্যমে ফোঁটা ও উপহার পেয়ে ভাইয়েরা খুশি হলেও বোনেদের তৈরী ভুঁরিভোজের লোভনীয় পদের জন্য মন বেশ ভারাক্রান্তই।যদিও অনলাইনেই উপহার বুক করে ভাই পাঠিয়ে দিয়েছে বোনের বাড়ি।তেমনিই বোনও অনলাইনে জিনিস বুক করে দিয়েছে ভাইকে।করোনা আবহে সুরক্ষিত থাকতে এমনই ভাইফোঁটার আয়োজন বলে তারা জানান।কলকাতা থেকে বোন শতাব্দী বিশ্বাস দাঁইহাটের ভাই সিদ্ধার্থ দাসকে,দাঁইহাট থেকে বোন রিয়া দাস কলকাতার দাদা সুব্রত দাসকে ফোঁটা দেন।কালনার যোগীপাড়া থেকে সুবর্ণা দাস কলকাতায় থাকা দাদা শুভম সাহাকে ভার্চুয়ালি ফোঁটা দেন।এই বিষয়ে সুবর্ণা দাস বলেন,‘বছরে এই একটি দিনে দাদাকে ফোঁটা দিয়ে ওর সেরা পছন্দের খাবারের আয়োজন করি।কিন্তু এইবার আর তা হোলো না।তাই মনটা খারাপ।এই পরিস্থিতিতে কি করে ফোঁটা দেবো প্রথম থেকেই এমন একটি চিন্তা ছিলো।যদিও শেষপর্যন্ত ভার্চুয়ালি তা সম্ভব হয়।আর অনলাইনের মাধ্যমেই উপহার আদানপ্রদানও হয়।’অন্যদিকে ভাই সিদ্ধার্থ দাস বলেন,‘এই দিনটিতে বোনের হাতে লোভনীয় বিভিন্ন ধরনের পদ খেতে কার না ভালো লাগে।এইবার করোনা কাঁটার জেরে ও ট্রেনে ভিড় থাকার জন্য পৌঁছাতে পারলাম না।যদিও শেষপর্যন্ত অনলাইনে ফোঁটা ও উপহার পেয়েছি।’





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।